রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

রাজস্থলীর পোয়াইতু ও ম্রওয়া পাড়া সড়কের বেহাল দশা 

রাজস্থলী (রাঙ্গামাটি) প্রতিনিধি 

রাজস্থলীর পোয়াইতু ও ম্রওয়া পাড়া সড়কের বেহাল দশা 

রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলা সদর গাইন্দ্যা ইউনিয়নে পোয়াইতু ও ম্রওয়া পাড়া সড়কটি বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। 

জানাযায়, গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ের ঢলের পানিতে পাড়ার একমাত্র চলাচল সড়কের বেশ কয়েকটি স্থানে বড় বড় ভাঙনসহ পাহাড় ধসের ঘটনায় গত এক সপ্তাহ ধরে একেবারে যান চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

 এতে দৈনিক রাজস্থলী উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ একেবারেই বিচ্ছিন্ন। দৈনিক পাড়ার শত শত লোকজন পায়ে হেঁটে দীর্ঘ সাত থেকে আট কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিয়ে উপজেলা সদরে বাজারসহ রাজস্থলী সরকারি কলেজ ও রাজস্থলী উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে হচ্ছে পায়ে হেঁটে। 

রাজস্থলী সরকারি কলেজছাত্র মংসিংউ মারমা বলেন, গত কয়েকদিন ধরে কলেজে যাওয়ার সময় দুইটি পোষাক নিয়ে ঘর থেকে বের হতে হয়। বাবার তেমন টাকা পয়সাও নেই যে রাজস্থলী উপজেলায় একটি ঘর ভাড়া করে রেখে আমাকে লেখা পড়া করাবে। 

রাস্তাটি সচল থাকলে সকালে বাড়ির থেকে ভাত খেয়ে কলেজে গিয়ে আবার বিকালে বাড়িতে ফিরতে পারতাম। গত কয়েকদিন ধরে হেঁটে হেঁটে আশা যাওয়া করায় অসুস্থ হয়ে পরছি আমিসহ অনেকে। 

পোয়াইতু তুগ্রছরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইওয়াইচিং মারমা বলেন, অচিরেই বিদ্যালয়ের সামনে রাস্তা যে হারে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে রাস্তা সংস্কার ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে নবনির্মিত বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি ওয়াল ও বিদ্যালয় ধসে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং বিশেষ করে রাস্তা থেকে বিদ্যালয়ের আশার রাস্তা একেবারে ধসে গেছে বলে জানান। 

গাইন্দ্যা ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য থোয়াইউচিং মারমা বলেন, পাড়াটি থেকে রাজস্থলী উপজেলা সদর একে বাড়ে কাছে মাত্র ৭ কিলোমিটার। প্রবল বর্ষণে যে হারে রাস্তাটিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তা বড় ধরনের প্রকল্প গ্রহণ করা ছাড়া সংস্কার করা সম্ভব নয় বলে জানান। 

তিনি আরো বলেন, উপজেলা সদর সংলগ্ন একটি এলকায় গত কয়েকদিন ধরে যোগাযোগ ব্যবস্থা একে বাড়ে ভেঙে পড়েছে। রাস্তাটি দুই তিন যায়গায় একে বাড়ে রাস্তা ও মাটি ধসে আলা হয়ে গেছে। দৈনিক পাড়ার ৩০-৩৫ জন শিক্ষার্থী ও পাড়ার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যগুলো বাজারজাত করতে চরম দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে এবং একদিকে দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুতের আলো থেকে বঞ্চিত পাড়াবাসী। 

গাইন্দ্যা ইউপি চেয়ারম্যান পুচিংমং মারমা বলেন, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের উপজেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ অধিদপ্তর (পিআইও) থেকে ইট সিলিংয়ের কাজ করা হয়েছে। তবে টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে বিভিন্ন স্থানে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে এবং পাহাড় ধসে চলাচল রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে এলাকাবাসী চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করা হয়েছে। বরাদ্দ হাতে পেলেই দ্রুত মাটি সরানোর কাজ শুরু করবেন। 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বলেন, আমি সদ্য দায়িত্ব গ্রহণ করছি। তবে পাড়ার রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে ভাঙনের কথা শুনেছি। রাস্তাটির বেশ কিছু অংশ চলতি অর্থবছরের ত্রাণ ও দুর্যোগ অধিদপ্তর থেকে ৬০ লাখ টাকার কাজ চলছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে চলমান রাস্তার কাজটি সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করে যানবাহন চলাচল উপযোগী করার জন্য কাজের সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে  লিখিতভাবে নির্দেশ দেয়া হচ্ছে বলে জানান।

টিএইচ